পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর্মকর্তাদের নিয়ে সিলেটে কর্মশালা
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক
সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) উদ্যোগে এবং
বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটির মার্কেটসের (বিএএসএম) তত্ত্বাবধানে সিলেটে
অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘কমপ্ল্যায়েন্স অ্যাফেয়ার্স অব দ্যা লিস্টেড কোম্পানিস’ শীর্ষক
সার্টিফিকেট কোর্স প্রোগ্রাম।
গত ১৭ মে থেকে ১৯ মে
তিন দিনব্যাপী আয়োজিত কর্মশালায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর কোম্পানি
সেক্রেটারি, চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ এক্সিকিউটিভ
অফিসারা অংশগ্রহণ করেন।
সার্টিফিকেট কোর্স প্রোগ্রামে পুঁজিবাজারে কমপ্লায়েন্সের গুরুত্ব; আইপিও,
আইকিউআইও, আরপিও, রাইট ইস্যুর মাধ্যমে ক্যাপিটাল রেইজিং এর প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি এবং
সে সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি; ডেবট্ সিকিউরিটিজ ইস্যুর মাধ্যমে ক্যাপিটাল রেইজিং ও
সংশ্লিষ্ট আইন; ইস্যুয়ার সংক্রান্ত আইন, এসএমই ও অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড;
কর্পোরেট গভর্নেন্স কোডের উপর রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স; মার্জার ও অধিগ্রহণের
প্রক্রিয়া ও সেসংক্রান্ত কমপ্লায়েন্স; মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ও ইনসাইডার ট্রেডিং
সংক্রান্ত আইন ও বিধি; বিভিন্ন সিকিউরিটিজের তালিকাভুক্তি এবং তাদের ধারাবাহিক
কমপ্লায়েন্স; হাইব্রিড এজিএম ও ই ভোটিং এবং লভ্যাংশ ঘোষণা ও বন্টন সংশ্লিষ্ট
কমপ্লায়েন্স ইত্যাদি বিষয়ে সেশন পরিচালিত হয়। সর্বোপরি, অংশগ্রহণকারীদের
সিকিউরিটিজ সংক্রান্ত আইন এবং কমপ্লায়েন্স সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের সমাপনী
বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার ড. শেখ
শামসুদ্দিন আহমেদ। পুঁজিবাজারের উন্নয়ন এবং স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা ও বিনিয়োগকারীদের
স্বার্থ রক্ষায় সিকিউরিটিজ সংক্রান্ত আইন যথাযথভাবে অনুসরণ এবং কমপ্লায়েন্স
নিশ্চিতকরণ অত্যন্ত জরুরি বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি সিকিউরিটিজ সংক্রান্ত আইন ও
নীতিমালা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন এবং এক্ষেত্রে
বিএসইসি সব সময় সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছে বলে জানান।
সমাপনী বক্তব্যের পর তিনি অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সার্টিফিকেট
বিতরণ করেন এবং সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।